বাংলাদেশ বিষয়াবলি – আগস্ট ২০২৪

কালানুক্রমিক ঘটনাবলি

০৩.০৮.২০২৪

♦ বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

০৪.০৮.২০২৪

♦ ঢাকাসহ বিভাগীয় সদর, জেলা সদর এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়।

০৬.০৮.২০২৪

♦  বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি লাভ।

♦ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

♦ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

০৯.০৮.২০২৪

♦ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক বৈঠক।

♦ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়।

১০.০৮.২০২৪

♦ শনিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন।

♦  কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী পালিত।

১৩.০৮.২০২৪

♦ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়।

♦ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত চার বিচারপতি শপথ গ্রহণ করেন।

১৪.০৮.২০২৪

♦ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’; ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’; ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন।

১৭.০৮.২০২৪

♦ ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৪’-এ ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

♦ বিশ্বে দ্রুতগতিতে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স ছড়িয়ে পড়ায় দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করে।

১৮.০৮.২০২৪

♦  দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৩২৩ পৌরসভার মেয়র ও ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

১৯.০৮.২০২৪

♦ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।

♦ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

২০.০৮.২০২৪

♦  শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলমান এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত সব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

২১.০৮.২০২৪

♦  আমার বাংলাদেশ পার্টিকে (এবি পার্টি) নিবন্ধন দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

২২.০৮.২০২৪

♦ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গুমের ঘটনাগুলো তদন্তে কমিশন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডসহ সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দল  ঢাকায় পৌঁছেন।

♦ সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ-সদস্যদের (এমপি) জন্য বরাদ্দকৃত সব কূটনৈতিক (লাল) পাসপোর্ট বাতিল করে।

২৭.০৮.২০২৪

♦ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

আলোচিতবাংলাদেশ

নব-নিযুক্ত

বাংলাদেশপুলিশেরমহাপরিদর্শক

৬ আগস্ট, ২০২৪ বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (IGP) হিসেবে নিয়োগ পান মো. ময়নুল ইসলাম, এনডিসি। ৭ আগস্ট তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মো. ময়নুল ইসলাম পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১ জানুয়ারি, ১৯৯১ তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। 

র‍্যাবমহাপরিচালক

৭ আগস্ট, ২০২৪ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (RAB) নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান এ কে এম শহিদুর রহমান, পিপিএম, এনডিসি। ৮ আগস্ট, র‍্যাবের ১১তম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

DMP’কমিশনার

৭ আগস্ট, ২০২৪ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (DMP) নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান মো. মাইনুল হাসান, পিপিএম-সেবা, এনডিসি। 

২৫তমপ্রধানবিচারপতি

১০ আগস্ট, ২০২৪ হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১১ আগস্ট, ২০২৪ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। তার পিতা ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। আর মা ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুফিয়া আহমেদ বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন। সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২৭ এপ্রিল, ২০০৩ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২৭ এপ্রিল, ২০০৫ হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আল্টিমেটামের মুখে ১০ আগস্ট, ২০২৪ পদত্যাগ করেন বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

অ্যাটর্নিজেনারেল

৮ আগস্ট, ২০২৪ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বাংলাদেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ১৬তম অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হন। ১৩ আগস্ট, ২০২৪ তিনজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও ৯ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলও নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

আপিলবিভাগেনতুনবিচারপতি

১২ আগস্ট, ২০২৪ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হাইকোর্ট বিভাগের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন। নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি হলেন- জুবায়ের রহমান চৌধুরী, সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, মো. রেজাউল হক ও এস এম এমদাদুল হক। তাদের নিয়ে আপিল বিভাগের মোট বিচারপতি ৬ জন। 

বাংলাদেশব্যাংকেরগভর্নর

১৩ আগস্ট, ২০২৪ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান অর্থনীতিবিদ ও গবেষক আহসান এইচ মনসুর। তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ দেয়ার জন্য ‘Bangladesh Bank (Amendment) Ordinance, 2024’ জারি করে গভর্নর পদের বয়সসীমা ৬৭ বছর তুলে দেওয়া হয়। কারণ, আহসান এইচ মনসুরের বয়স এখন ৭২ বছর ৮ মাস। এর আগে ৯ জুলাই ২০২০ জাতীয় সংসদে বিল পাস করে গভর্নরের বয়সসীমা ৬৫-৬৭ বছর করা হয়।

দেশজুড়ে

শুল্কমুক্ত সুবিধায় UNOPS

জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের কাজের জন্য আমদানি করা পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় বাংলাদেশ। দেশে এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৩টি। ৩১ জুলাই, ২০২৪ এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগ হয় United Nations Office for Project Services (UNOPS)। UNOPS ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন বাংলাদেশে এর কোনো কার্যক্রম ছিল না। জাতিসংঘের কনভেনশন অন দ্য প্রিভিলেজেস অ্যান্ড ইমিউনিটিস অব স্পেশালাইজড এজেন্সিসের আওতায় এ ধরনের শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয়।

প্রত্যয় স্কিম বাতিল

১৭ আগস্ট, ২০২৩ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন থেকে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিম চালু হয়। পরে ১৩ মার্চ, ২০২৪ রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ‘প্রত্যয়’ নামে স্কিম ঘোষণা করা হয়। নানা আলোচনা সমালোচনার পর ৩ আগস্ট, ২০২৪ প্রত্যয় পেনশন স্কিম বাতিল করা হয়।

উচ্চফলনশীল সয়াবিনের নতুন জাত

সম্প্রতি গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল জলাবদ্ধতা সহনশীল উচ্চফলনের সয়াবিনের নতুন একটি জাত উদ্ভাবন করেন। জাতটির নামকরণ করা হয় বিইউ সয়াবিন-৫। জাতটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগে নিবন্ধন করা হয়।

বিদ্রোহে বিপ্লবে অভ্যুত্থান

ক্যু বা অভ্যুত্থান হলো একটি ছোট গোষ্ঠীর দ্বারা বিদ্যমান সরকারকে আকস্মিক বা সহিংস উপায়ে উৎখাত করা। ‘অভ্যুত্থান’ শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ Coup (ক্যু) থেকে। যার অর্থ আকস্মিকভাবে সরকারের বিরুদ্ধে অবরোধ করা। অনানুষ্ঠানিকভাবে অভ্যুত্থান বা ক্যু শব্দটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়ে থাকে। ১৭৯৯ সালের অক্টোবরে আধুনিক পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম ক্যু হয়। মিসরে সামরিক অভিযান থেকে ফিরে আসার পর ফরাসি সামরিক নেতা নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সের ক্ষমতায় বসা পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদকে উৎখাতের পরিকল্পনা করেন। ওই পাঁচ পরিচালকের দুজন এবং বেশ কয়েকজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নেপোলিয়নের ষড়যন্ত্রে সমর্থন দেয়। নেপোলিয়ন চালকের দুজন ৭২৯ প্যারিসের বাইরে একটি বিশেষ আইনসভার অধিবেশনের ব্যবস্থা করেন। নেপোলিয়ন ভেবেছিলেন ঘুষ এবং ভয় দেখিয়ে আইনসভা তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তবে এর পরিবর্তে তাকে গালাগাল দিয়ে স্লোগান ওঠে এবং তাড়া করা হয়। তবে নেপোলিয়ন সৈন্যদের নিজের পক্ষে আনতে সক্ষম হন। ধীরে ধীরে তিনি আইনসভায় যুক্ত হন, পরিচালকদের সেখান থেকে অপসারণ করেন। সর্বশেষ নেপোলিয়ন ১৮০৪ সালে সকল ক্ষমতা একত্রিত করে নিজেই সম্রাট হয়ে ওঠেন।   

বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান

অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশে একমাত্র বাংলাদেশেই গণ-অভ্যুত্থানের মতো ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশে তাত্ত্বিক, রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীদের মতে এ অঞ্চলে মোট পাঁচটি গণ-অভ্যুত্থান হয়। শুরুর গণ-অভ্যুত্থানটি ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। শুরুতে এটি ছাত্র আন্দোলনই ছিল। পরে তা জাতীয় আন্দোলনে পরিণত হয়। দ্বিতীয় গণ-অভ্যুত্থান ছিল ১৯৬৯ সালে। তৃতীয়টি ছিল ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে। নব্বইয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে চতুর্থ গণ-অভ্যুত্থান হয়। এ প্রতিটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই সরকার পরিবর্তন হয়। ১৯৫২ সালের ক্ষেত্রে সরকার পরিবর্তন সরাসরি হয়নি। দেখা যায়, বায়ান্নর আন্দোলনের পরিণতিতেই ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ সরকারের পতন হয়। শুধু যে সরকারের পতন হয় তা-ই নয়; মুসলিম লীগ পূর্ব বাংলা থেকেও উচ্ছেদ হয়। ১৯৬৯ সালে যে গণ-অভ্যুত্থান হয় তাতে সামরিক সরকার টিকে থাকলেও আইয়ুব খানের সরকার উচ্ছেদ হয়ে ইয়াহিয়া খানের সরকার ক্ষমতায় আসে। ১৯৭১ সালে জানুয়ারি কিংবা এর আগেই ব্যাপক গণআন্দোলন শুরু হয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান ঘটায় ছাত্র-জনতা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সুখী ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন স্বপ্নের চোখে তিনি দেখেন বাংলাদেশকে। দারিদ্র্য থেকে মুক্তির ছোট্ট প্রয়াসই তাঁর মূল শক্তি। সেই স্বপ্ন দেখিয়ে বিশ্ব জয় করা মানুষটি এখন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

♦ জন্ম: ২৮ জুন, ১৯৪০

♦ জন্মস্থান: বাথুয়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম

♦ বাবা: হাজী দুলা মিয়া সওদাগর

♦ মা: সুফিয়া খাতুন

♦ দাদা: হাজী নজু মিয়া সওদাগর

♦ ভাইবোন: ৭ ভাই ও ২ বোন

♦ সাত ভাইয়ের মধ্যে অধ্যাপক ড. ইউনূস দ্বিতীয়

♦ ড. ইউনুসের ছোট দুই ভাইয়ের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইব্রাহিম এবং অন্যজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর

♦ উপাধি: ক্ষুদ্র ঋণের প্রবর্তক · গরিবের ব্যাংকার · সামাজিক ব্যবসার অগ্রদূত

শিক্ষাজীবন

১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে স্নাতক ও ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৫ সালে ফুলব্রাইট বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (GPED) থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। 

কর্ম জীবন

স্নাতক শেষ করার পর তিনি গবেষণা সহকারী হিসেবে অর্থনীতি ব্যুরোতে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৬৯-১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মার্ফিসবোরোতে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

ক্ষুদ্রঋণ ও গ্রামীণ ব্যাংক

১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষকে খুব কাছে থেকে প্রত্যক্ষ করার পর ইউনূস দারিদ্র্য দূরীকরণে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং তার অর্থনীতি বিভাগের একাডেমিক প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে গ্রামীণ অর্থনীতি কর্মসূচি চালু করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি নতুন ধরনের কৃষি সমবায় ‘নবযুগ তেভাগা খামার’ সংগঠিত করেন, যা পরবর্তীতে সরকার প্যাকেজড ইনপুট প্রোগ্রাম হিসেবে গ্রহণ করে। ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামে অত্যন্ত দরিদ্র কিছু পরিবারের জন্য কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন যে, খুব সামান্য পরিমাণ ঋণ একজন দরিদ্র মানুষের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। নিজে গরিব মানুষের ঋণের জামিনদার হয়ে স্থানীয় জনতা ব্যাংক থেকে তার প্রকল্পের মাধ্যমে জোবরা গ্রামের গরিব মানুষদের ঋণ দেওয়া শুরু করলেন। ২ অক্টোবর, ১৯৮৩ তার এ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকে রূপান্তরিত হয়। যার নাম হয় ‘গ্রামীণ ব্যাংক’।

♦ তার জন্মদিন ২৮ জুন কে বৈশ্বিকভাবে ‘সামাজিক ব্যবসা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

♦ বিশ্বের ৮০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে তার চিন্তা, কাজ, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও তার জীবনাদর্শ নিয়ে গবেষণা হয়।

♦ কানাডা ও জাপানের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ড. ইউনূসের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

♦ ক্ষুদ্রঋণ বা সামাজিক ব্যবসার মডেল পৃথিবীর ৪০টির বেশি দেশে ১৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ধারণ করে চলেছে।

♦ মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এ পুরস্কার লাভ করেন।

♦ ২০১২ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হন।

♦ ২০২০ সালে মালয়েশিয়ার আলবুখারি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (AIU) প্রথম চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৪টি দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬০টির মতো সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ন্যাশভিলে বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি (BCC) গঠন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অন্যান্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ তথ্য কেন্দ্র চালু করেন। তিনি তার ন্যাশভিলের বাড়ি থেকে ‘বাংলাদেশ নিউজলেটার’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অন্যদের সমর্থন আদায় এবং পাকিস্তানকে সামরিক সহযোগিতা প্রদান বন্ধ করতে মার্কিন কংগ্রেসে লবি করার উদ্দেশ্যে তিনি এসব উদ্যোগ নেন।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ

♦ Three farmers of Jobra

♦ Jorimon and Others: Faces of Poverty

♦ Banker to the Poor: Micro-Lending and the Battle Against World Poverty

♦ Creating a World Without Poverty: Social Business and the Future of Capitalism

♦ A World of Three Zeros: The New Economics of Zero Poverty, Zero Unemployment, and Zero Net Carbon Emissions.

গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার-সম্মাননা

♦ প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড (১৯৭৮)

♦ র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৮৪)

♦ স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৮৭)

♦ আগা খান অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯)

♦ বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (১৯৯৪)

♦ ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার (১৯৯৮)

♦ সিডনি শান্তি পুরস্কার (১৯৯৮)

♦ সিউল শান্তি পুরস্কার (২০০৬)

♦ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার (২০০৬)

♦ প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম (২০০৯)

♦ অলিম্পিক লরেল (২০২০)

♦  চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড (২০২১)।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ৫০ বছর

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জন করা এবং জাতিসমূহের কর্মকাণ্ডকে সমন্বয় করার কেন্দ্র হিসেবে ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ গঠিত হয় জাতিসংঘ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তিতে এ বিষয় নিয়ে থাকছে বিশেষ আয়োজন-

সদস্যপদ লাভ

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর বাংলাদেশের সামনে দু’টি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে আর তা হলো যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করা এবং জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করা। সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলো অখণ্ডতার নীতির দ্বন্দ্ব তুলে ধরেন। অপরদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত, পোল্যান্ড প্রভৃতি রাষ্ট্র পাকিস্তানের বর্বরতা ও গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে বাঙালি জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন মিয়ানমারের (তৎকালিন বার্মা) সাবেক কূটনীতিক উ থান্ট। ১৯৭২ সালের আগস্ট মাসের আগেই নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি অস্থায়ী সদস্যের মধ্যে ১১টি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫টি সদস্যের মধ্যে একমাত্র চীন ব্যতীত অপর ৪টি সদস্যরাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ৮ আগস্ট, ১৯৭২ বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের জন্য আবেদন করে। ২৫ আগস্ট, ১৯৭২ বাংলাদেশের জাতিসংঘ সদস্যপদ লাভের বিরুদ্ধে ভেটো দেয় চীন। ১৮ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘের ২৭তম অধিবেশন শুরু হয় এবং সে পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৯১টি দেশ স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৭ অক্টোবর, ১৯৭২ বাংলাদেশ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক মর্যাদা লাভ করে। ১০ জুন, ১৯৭৪ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশকে সদস্যপদ দেওয়ার সুপারিশ করে। ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্য। বাংলাদেশের সাথে গ্রানাডা ও গিনি বিসাউ সদস্যপদ লাভ করে। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশে মিশন

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী কূটনৈতিক মিশন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত। এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন শুরু হয় ১৯৭২ সালে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আনোয়ারুল করিম। জাতিসংঘে নিযুক্ত প্রথম নারী স্থায়ী প্রতিনিধি ইসমাত জাহান। বর্তমানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

শান্তিরক্ষা মিশন

১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তিরক্ষী মিশনে সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্যের যোগ দেওয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের পতাকাতলে একতাবদ্ধ হয় বাংলাদেশ। এরপর শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী। ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী বাংলাদেশ। ২০২১ ও ২০২২ সালে বাংলাদেশ প্রথম স্থানে অবস্থান করে। চার দশকের শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪৩টি দেশ ও স্থানে, ৬৩টি জাতিসংঘ মিশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে। পৃথিবীর শান্তিরক্ষায় সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনের করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেন ১৬৮ জন। বর্তমানে পৃথিবীর ১৩টি দেশে ৬,০৯২ জন বাংলাদেশি বিশ্ব মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪৯৩ জন নারী শান্তিরক্ষী।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভূমিকা

♦ জাতিসংঘের যে সকল অঙ্গ সংস্থা বাংলাদেশে কাজ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-

♦  জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)।

♦ জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICEF)।

♦ বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)।

♦  জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA)।

♦ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)।

♦ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)।

♦ ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (VGF)।

♦ জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (UNHCR)।

♦ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা (WTO)।

♦  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং

♦ বিশ্বব্যাংক গোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা (IMF)।

মাতৃভাষা দিবস:

১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা UNESCO একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পরের বছর ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ১৮৮টি দেশে ২১ ফ্রেরুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (UNESCO) উদ্যোগে সুন্দরবন এবং আরও কিছু ঐতিহাসিক স্থান বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

বাংলাদেশ সফরকারী জাতিসংঘ মহাসচিববৃন্দ

নামদেশসময়কাল
কুর্ট ওয়াল্ডহেইমঅস্ট্রিয়া৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩
জাভিয়ের পেরেজ দ্য কুয়েলারপেরু৩-৬ মার্চ ১৯৮৯
কফি আনানঘানা১৩-১৫ মার্চ ২০০১
বান কি মুনদ. কোরিয়া১-২ নভেম্বর ২০০৮
১৩-১৫ নভেম্বর ২০১১ 
অ্যান্তনিও গুতেরেসপর্তুগাল ৩০ জুন-২ জুলাই ২০১৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *