বাংলাদেশ বিষয়াবলি – নভেম্বর ২০২৪

০২.১১.২০২৪

♦ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।

০৩.১১.২০২৪

♦ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নেন ডা. শাহাদাত হোসেন।

♦ ঢাকায় জাপানের ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু।

♦ ইথিওপিয়া বাংলাদেশের সাথে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করে।

০৪.১১.২০২৪

♦ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়ারপারসন করে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন গঠন।

০৬.১১.২০২৪

♦ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নতুন চার সদস্য শপথ গ্রহণ করেন।

০৭.১১.২০২৪

♦ উপদেষ্টা পরিষদের ১২তম বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন।

♦ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন অবৈতনিক সদস্য পদত্যাগ করেন।

১০.১১.২০২৪

♦ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আরও তিনজন শপথ নেন।

♦ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করতে বাছাই কমিটি গঠন করে সরকার।

১১.১১.২০২৪

♦ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী লাউঞ্জের উদ্বোধন।

১৪.১১.২০২৪

♦ কুইক রেন্টাল সংক্রান্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর ৯ ধারায় দায়মুক্তির বিধান অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

১৫.১১.২০২৪

♦ ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী নেপাল থেকে ভারতীয় গ্রিড হয়ে বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু।

১৬.১১.২০২৪

♦ ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে তৃতীয় বারের মতো তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’ শুরু।

১৭.১১.২০২৪

♦ মজলুম জননেতা ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত।

♦ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

১৮.১১.২০২৪

♦ স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন, শ্রম সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি।

♦ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

১৯.১১.২০২৪

♦ ঢাকা মহানগর এলাকায় তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

২০.১১.২০২৪

♦ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে বৈঠক করে।

♦ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন।

২১.১১.২০২৪
♦ সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন।

♦ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাহারুল আলম।

২৪.১১.২০২৪

♦ নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ গ্রহণ করেন।

২৫.১১.২০২৪

♦ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (ICC) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান চারদিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন।

আলোচিত বাংলাদেশ

নব-নিযুক্ত

♦ বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (IGP): বাহারুল আলম।

♦ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ: শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

♦ সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন: মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, এ এস এম গোলাম হাফিজ, অধ্যাপক ড. এম সোহেল রহমান এবং ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস।

♦ প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ: ড. খলিলুর রহমান।

বাংলা একাডেমির সভাপতি

২৮ অক্টোবর ২০২৪ বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৭ অক্টোবর ২০২৪ বাংলা একাডেমির প্রথম নারী সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন পদত্যাগ করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তিনি এ দায়িত্ব নেন।

চাকরির বয়স ৩২ : অধ্যাদেশ জারি

১৮ নভেম্বর ২০২৪ সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪ জারি করা হয়। অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করা হয়। বর্তমানে সংসদ না থাকায় সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ জারি করেন। অধ্যাদেশের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো-  

সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমা

আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন, রাষ্ট্রপতির আদেশ, অধ্যাদেশ, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, সংবিধি, আদেশ, নির্দেশ বা আইনগত দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন-

ক. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

খ. বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর আওতাবহির্ভূত সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

গ. স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল কর্পোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহের চাকরির যে সকল পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর উল্লেখ রয়েছে, সর্বত্র উক্ত বয়সসীমা ৩২ বছর প্রতিস্থাপিত হবে।

ঘ. প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বা, ক্ষেত্রমত, প্রবিধানমালা বহাল থাকবে।

ঙ. অসুবিধা দূরীকরণে এই অধ্যাদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই অধ্যাদেশের বিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, উক্তরূপ অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দূর করতে পারবে।

তিন বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

১৮ নভেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সভায় (BPSC) ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষাগুলো স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। এগুলো হলো-

১) ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) বাতিল করে সব প্রার্থীর নতুন করে ভাইভা নেওয়া হবে। এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১,৭৩২ প্রার্থীর মধ্যে ৩,৯৩০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৮ মে ২০২৪ মৌখিক পরীক্ষা শুরু হলেও ২৫ আগস্ট ২০২৪ মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

২) ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে সকল উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষককে দেওয়া হবে।

৩) ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ফলাফল আবার নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ২১ হাজার ৩৯৭ জন। আগের ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীর সঙ্গে নতুন করে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পেলেন ১০ হাজার ৭৫৯ জন প্রার্থী।

বিসিএসবিজ্ঞপ্তি প্রকাশমোট অংশগ্রহণপ্রিলিমিনারি পরীক্ষাউত্তীর্ণশূন্যপদ
প্রিলিমিনারিলিখিত
৪৪তম৩০ নভেম্বর ২০২১২,৭৬,৭৬০২৭ মে ২০২২১৫,৭০৮১১,৭৩২১,৭১০
৪৫তম৩০ নভেম্বর ২০২২২,৬৮,১১৯১৯ মে ২০২৩১২,৭৮৯২,৩০৯
৪৬তম৩০ নভেম্বর ২০২৩২,৫৪,৫৬১২৬ এপ্রিল ২০২৪১০,৬৩৮৩, ১৪০

নতুন নির্বাচন কমিশন

৩১ অক্টোবর ২০২৪ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার গঠনের লক্ষ্যে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। ২০ নভেম্বর ২০২৪ অনুসন্ধান কমিটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে ১০ জনের নামের তালিকা পেশ করে। এরপর তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে ২১ নভেম্বর ২০২৪ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। ২৪ নভেম্বর ২০২৪ তারা শপথ গ্রহণ করেন। এ কমিশনের অধীনে দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

♦ প্রধান নির্বাচন কমিশনার: এ এম এম নাসির উদ্দীন (সাবেক সচিব)।

♦ ৪ নির্বাচন কমিশনার: আনোয়ারুল ইসলাম সরকার (সাবেক অতিরিক্ত সচিব), আবদুর রহমানেল মাসুদ (সাবেক জেলা ও দায়রা জজ), তহমিদা আহমদ (সাবেক যুগ্ম সচিব) ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল)।

♦ দেশের ১৪তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। তার নিজ জেলা কক্সবাজার।

♦ বাংলাদেশের তৃতীয় নারী নির্বাচন কমিশনার বেগম তহমিদা আহমদ। দেশের প্রথম নারী নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম আর দ্বিতীয়- নারী নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

দেশজুড়ে

চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি

১০-২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ দেশে চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হবে। শুমারিতে ৬৫টি প্রশ্ন উঠে আসবে এবং ৯৫,০০০ তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ‘ক্যাপি’ পদ্ধতিতে শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবারের শুমারিতেই প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত রয়েছেন এবং নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য তুলে আনা হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এ ধরনের শুমারি করে। ২৭-২৯ ডিসেম্বর ১৯৮৬ দেশে প্রথমবারের মতো অর্থনৈতিক শুমারি করা হয়। তখন-এর শিরোনাম ছিল Census on Non- Farm Economic Activities and Disabled Persons। দ্বিতীয়বার দুই ধাপে অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করা হয়। শহরাঞ্চলে ২৭-৩১ মে ২০০১ এবং গ্রামাঞ্চলে ২০-২৬ এপ্রিল ২০০৩। দ্বিতীয়বারের শুমারিতে সকল ধরনের অকৃষি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৃতীয় অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালিত হয় ৩১ মার্চ-৩১ মে ২০১৩।

গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল

১৭ অক্টোবর ২০২৪ উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্ত করতে ‘গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ গঠন করা হয়। ২৮ অক্টোবর ২০২৪ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে সেলটি গঠন করে অফিস আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১০ সদস্যের এ সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। সেলে উপসচিব/জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পর্যায়ের চারজন কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দুজন, ছাত্র প্রতিনিধি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পিআইডির একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন। বিশেষ সেল শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত করতে সম্ভাব্য সকল উৎস থেকে নতুন তথ্যাদি সংগ্রহ করার উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে এবং প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে যাবে ও স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের সহায়তা গ্রহণ করবে। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের হাসপাতালে সুচিকিৎসা পেতে এবং শহীদ ও আহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া ছাড়াও গুরুতর আহতদের প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে সহায়তা করবে এ সেল।

নতুন নামে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

২৭ অক্টোবর ২০২৪ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন দুটি দপ্তর/সংস্থা যথাক্রমে ‘মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর’ ও ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র নামে ‘মহিলা’ শব্দের পরিবর্তে ‘নারী’ শব্দ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১, নারীবিষয়ক অন্যান্য আইন, বিধিমালা ও নীতিমালায় এবং দেশে-বিদেশে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অন্যান্য আইন, বিধিমালানিক সব ক্ষেত্রে নারী শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সংবিধানের ১৯, ২৭, ২৮ এবং ২৯নং অনুচ্ছেদে নারীর রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নারীর সম-অধিকার, সমসুযোগ এবং ক্ষমতায়নের বিষয়গুলো সন্নিবেশিত। ১৯৮৪ সালে সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। ৯ নভেম্বর ১৯৮৯ মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয় নামকরণ করা হয়। ২৮ আগস্ট ১৯৯০ মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তরকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়। ৫ মে ১৯৯৪ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নামকরণ করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ একীভূত

৩ নভেম্বর ২০২৪ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগকে এক করার বিষয়ে অনুমোদন দেন। কাজের ব্যাপকতা, অধিকতর সমন্বয়, গতিশীলতা আনয়ন ও গুরুত্ব বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’ একীভূত করা হবে। বর্তমানে জননিরাপত্তা বিভাগের অধীনে ৬টি এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ৪টি সংস্থা রয়েছে। একীভূত হওয়ার পর এ মন্ত্রণালয়ের অধীন চলে আসবে ১০টি সংস্থা। উল্লেখ্য, এর আগে ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠন করে দুটি বিভাগ গঠন করা হয়।

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর নতুন মথ আবিষ্কার

নতুন একটি মথের (গণ ও প্রজাতি) নামকরণকারীদের তালিকায় নাম লেখান বাংলাদেশি দম্পতি মো. জহির রায়হান ও সায়েমা জাহান। ছয় মাসের গবেষণার পর এ দম্পতি নতুন মথটির নামকরণ করেন। এর নাম দেন ‘প্যারাক্সিনোয়াক্রিয়া স্পিনোসা’ (Paraxenoacria spinosa)। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ‘আ নিউ জেনাস অ্যান্ড স্পেসিস অব পেলিওপোডিডি হজেস, ১৯৭৪ (ইনসেকটা: লেপিডোপটেরা) ফ্রম সাউথ-এশিয়া’ শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এর আগে তারা আরও দুইটি মথ আবিষ্কার করেন। এগুলো হলো- Phragmatataecia Ishugii ও Schistophleps kendricki মথ হলো প্রজাপতির সাথে সম্পর্কিত এবং লেপিডোপ্টেরা বর্গের অন্তর্গত কীটের একটি প্যারাফাইলেটিক দল। লেপিডোপ্টেরা বর্গের অধিকাংশ প্রজাতিই হলো এ সকল মথ। প্রায় ১,৬০,০০০টি প্রজাতি নিয়ে এ মথের দল গঠিত যাদের অনেকগুলোর বর্ণনা এখনো অসম্পূর্ণ।

জাপানের ভিসা আবেদন কেন্দ্র

৩ নভেম্বর ২০২৪ ঢাকায় জাপানের ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু হয়। ‘ভিএফএস গ্লোবাল’ বাংলাদেশে জাপানি ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জাপানের ভিসা সুবিধা নিতে আবেদনকারীরা ঢাকায় অত্যাধুনিক ভিসা আবেদন কেন্দ্রে যেতে পারবেন। জাপানে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের কেউ পড়ালেখা, চাকরি বা ব্যবসাসহ নানান পেশায় যুক্ত রয়েছেন। উল্লেখ্য, ভ্রমণ, সেমিনার, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ জাপানে যান।

উপদেষ্টা পরিষদের কলেবর বৃদ্ধি

১০ নভেম্বর ২০২৪ নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন আরও তিনজন উপদেষ্টা। একই দিন বঙ্গভবনে তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নতুন উপদেষ্টারা হলেন- শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। ২৮ আগস্ট ২০২৪ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা মাহফুজ আলম উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেও দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপনে তার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ২০২৪ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ২৪।

তিন বিশেষ সহকারী

১০ নভেম্বর ২০২৪ প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিনজন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এরা হলেন- পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (IGP) খোদা বকশ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (BSMMU) উপাচার্য অধ্যাপক সায়েদুর রহমান এবং অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলাম। খোদা বকশ চৌধুরী স্বরাষ্ট্র, সায়েদুর রহমান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং এম আমিনুল ইসলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহযোগিতা করবেন। এ জন্য তাদের ওই সকল মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়।

নামবণ্টন/পুনর্বণ্টনকৃত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ
প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসমন্ত্রণালয়- প্রতিরক্ষা • জনপ্রশাসন
বিভাগ- মন্ত্রিপরিষদ • সশস্ত্র বাহিনী
উপদেষ্টাগণ
সালেহ উদ্দিন আহমেদঅর্থ • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
ড. আসিফ নজরুলআইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক • প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান
হাসান আরিফভূমি • বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন
আলী ইমাম মজুমদারখাদ্য
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াযুব ও ক্রীড়া • স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
ব্রি.জে. (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেননৌ-পরিবহন • শ্রম ও কর্মসংস্থান
শেখ বশির উদ্দীনবাণিজ্য • বস্ত্র ও পাট
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীসংস্কৃতি

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমুদ্র যোগাযোগ

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সাথে সমুদ্র পথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক যোগাযোগ শুরু হয়। ১৩ নভেম্বর ২০২৪ করাচি থেকে পণ্যবাহী একটি কনটেইনার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটির নাম উয়ান জিয়াং ফা ঝান। জাহাজটি ছিল করাচি থেকে সরাসরি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে নোঙর করা প্রথম কোনো জাহাজ। এ জাহাজে ৩৭০ একক কনটেইনার পণ্য ছিল। বাংলাদেশে জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোরের যাত্রা

১১ নভেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্রভাবে যাত্রা শুরু করে আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোর। চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারে এ কোরের উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। অনুষ্ঠানে একজন ইউনিট অধিনায়ক, একজন নারী অফিসার, জ্যেষ্ঠ মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার এবং একজন সৈনিককে সোল্ডার টাইটেল ও ক্যাপ ব্যাজ পরিয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ‘আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোর’ (Army Air Defence Corps) একটি বিশেষ ইউনিট, যা শত্রু বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন, এবং ক্ষেপণাস্ত্র থেকে দেশের আকাশপথ রক্ষা করতে দায়িত্ব পালন করবে।

উদ্ভিদের লাল তালিকা

সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য উদ্ভিদের লাল তালিকা তৈরি করেছে সরকার। ১১ নভেম্বর ২০২৪ ‘বাংলাদেশে উদ্ভিদের লাল তালিকা’ বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। তালিকা অনুযায়ী- ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত ২৭১টি • তথ্য অপ্রতুল ২৫৬টি • বিপদাপন্ন ৩৯৫টি • মহাবিপন্ন ৫টি • বিপন্ন ১২৭টি • সংকটাপন্ন ২৬৩টি • বিপদগ্রস্ত ৭০টি • বিলুপ্ত ৭টি। ‘এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা অ্যান্ড ফনা ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ৩,৮১৩টি উদ্ভিদ প্রজাতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দেশের প্রথম ক্রীড়া নিউজ পোর্টাল

৩১ অক্টোবর ২০২৪ দেশের প্রথম ক্রীড়া বিষয়ক নিউজ পোর্টাল হিসেবে সরকারের নিবন্ধন পায় ‘খেলা ডট কম’ (khela.com)। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরা এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে নির্ভুল ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের লক্ষ্যে পোর্টালটির যাত্রা শুরু হয়।

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ

APPG’র চেয়ারম্যান

ব্রিটেনে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (APG) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন পূর্ব লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইমহাউজ আসনের MP আপসানা বেগম। ২০২৪ সালের অক্টোবরে আপসানার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। এর আগে ২০১৯ সালে লেবার পার্টির মনোনয়নে প্রথম পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন আপসানা। তার আদি বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে।

ICSC’র সদস্য

৮ নভেম্বর ২০২৪ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (ICSC) সদস্য নির্বাচিত হন। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দুটি শূন্য আসনের জন্য বাংলাদেশ, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বাংলাদেশ ও চীনের প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হন। বাংলাদেশ ২০২৫- ২০২৮ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য ICSC’র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ICSC জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা, যা ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত। এটি জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ ও এনটাইটেলমেন্ট-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সুপারিশ করার জন্য প্রধান সংস্থা।

তিন পর্বত আরোহণের রেকর্ড তৌকিরের

৪-৩০ অক্টোবর ২০২৪ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের ৩টি ছয় হাজার মিটারের পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির। কোনো শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই সেখানে আরোহণ করেন তিনি। তৌকিরের অভিযানের নাম ছিল TREE PEAK IN A ROW। এ অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল রোপ ফোর আউটডোর অ্যাডুকেশন। তৌকির ১৩ অক্টোবর ২০২৪ পর্বতের ৬,১১৯ মিটারের লবুচে পিক, ১৮ অক্টোবর ৬১৬৫ মিটারের আইল্যান্ড পিক এবং ৩০ অক্টোবর ৬,৪৬১ মিটারের মেরা পিক এর শিখর স্পর্শ করে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়ে। একই সাথে এ তিনটি পর্বতের চূড়া আগে বাংলাদেশের কেউ স্পর্শ করেনি।

সার্ক ফাইন্যান্সের চেয়ারপারসন

সার্ক ফাইন্যান্স নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ২৪ অক্টোবর ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৬তম সার্ক ফাইন্যান্স গভর্নরস গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ক ফাইন্যান্স নেটওয়ার্কের চেয়ার কান্ট্রি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে। এর আগে এর চেয়ারপারসন ছিলেন সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলংকার গভর্নর।

কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম

♦ তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৯ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ। ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাত থেকে মুয়াজ মাহমুদ সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন।

♦ ১৯ নভেম্বর ২০২৪ কুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার (শিশু হাফেজদের গ্রুপ) ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রথম স্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। এছাড়াও কেরাত গ্রুপে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন ক্বারী আবু জর গিফারী।

মার্কিন নির্বাচনে বাংলাদেশ

ব্যালট পেপারে বাংলা

৫ নভেম্বর ২০২৪ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষার ব্যালট পেপারও রাখা হয়। অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ৪টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড অব ইলেকশনস নিউইয়র্ক শাখা। এ ভাষাগুলো হলো- চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রে যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০%-এর বসবাস নিউইয়র্কে। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বাংলায় অনুবাদ করা ব্যালটের ব্যবহার করা হয়।

নির্বাচনে জয়ী বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নির্বাচিত হন। বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন- জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান, একই স্টেটের অপর ডিস্ট্রিক্ট থেকে সিনেটর নাবিলা ইসলাম, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ (রিপাবলিকান) আবুল খান এবং নিউ জার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী।

তিন শূন্য গড়বে নতুন বিশ্ব

থ্রি জিরো তত্ত্ব

‘থ্রি জিরো’ বা ‘তিন শূন্য’ তত্ত্ব একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে নতুন বিশ্ব গড়তে সাহায্য করবে। এই তত্ত্বের মাধ্যমে ড. ইউনূস একটি সমতাভিত্তিক ও স্থিতিশীল পৃথিবীর ধারণা তুলে ধরেছেন, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পরিবেশগত সুরক্ষা একসঙ্গে চলবে। তত্ত্বটি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেগুলো হলো- ১. শূন্য দারিদ্র্য (Zero Poverty), ২. শূন্য বেকারত্ব (Zero Unemployment) এবং ৩. শূন্য নিট কার্বন নির্গমন (Zero Net Carbon Emissions)। ২৮ মে ২০১৫ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সামাজিক ব্যবসা দিবস উদযাপনকালে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ তত্ত্ব দেন। এরপর ২০১৭ সালে প্রকাশিত A World of Three Zeros নামক গ্রন্থে তিনি পৃথিবীর তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের সমাধানের জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।

♦ শূন্য দারিদ্র্য: শূন্য দারিদ্র্যের আলোচনায় তিনি দারিদ্র্য কোনো স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক অবস্থা নয় বরং এটি একটি মানবসৃষ্ট অবস্থা, যা সম্পদের অসম বণ্টনের ফলস্বরূপ তৈরি হয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দারিদ্র্য নিরসনের জন্য আমাদের প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে হবে। তার মাইক্রোফাইন্যান্স উদ্যোগ, বিশেষ করে গ্রামীণ ব্যাংক, দারিদ্র্য দূরীকরণে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। তিনি মনে করেন, সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে দরিদ্রদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ উন্মোচিত হবে, যেখানে লাভের চেয়ে সমাজের কল্যাণ বেশি প্রাধান্য পাবে।

♦ শূন্য বেকারত্ব: শূন্য বেকারত্ব আলোচনায় তিনি উল্লেখ করেন- উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থান করা সম্ভব। যদি মানুষকে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ ও প্রয়োজনীয় অর্থায়ন দেওয়া যায়, তবে তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে একটি স্বাবলম্বী জীবিকা গড়ে তুলতে পারবে।

♦ শূন্য নিট কার্বন নির্গমন: শূন্য নিট কার্বন নির্গমন বিষয়ে তিনি পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

থ্রি জিরোর ৪ মহাশক্তি

থ্রি জিরো পরিকল্পনা অর্জনের জন্য চারটি জিনিসের প্রয়োজন। এগুলো হলো-

♦ তরুণদের শক্তি এবং সৃজনশীলতাকে কাজে লাগান।

♦ প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার।

♦ ব্যবসাকে সামাজিক ব্যবসায় রূপান্তর

♦ সুশাসন নিশ্চিত করা।

টেকসই উন্নয়নে থ্রি জিরো

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রহণ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG)। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি-জিরো’ SDG অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে SDG অর্জনে বদ্ধপরিকর। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বের ধারণা বাংলাদেশ তরুণদের ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কৃষি খাতে একটি নতুন বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। টেকসই উন্নয়নের সব সূচকে অভীষ্ট অর্জনের ক্ষেত্রে ‘থ্রি জিরো’ অনুঘটন হিসেবে কাজ করবে।

বিশ্ব মঞ্চে থ্রি জিরো

প্যারিসে ২০২৪ সালের অলিম্পিকের মূল বার্তা ছিল নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’। গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজনে এ তিন বিষয়কে মূল ভূমিকায় রেখে সব পরিকল্পনা করা হয়। যেমন- এবারের অলিম্পিকের জন্য বেছে নেওয়া হয় প্যারিস শহরের অন্যতম অনুন্নত অঞ্চল সেইন্ট ডেনিসে। কার্বন দূষণ কমাতে সেখানে রাখা হয়নি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের বাড়তি ব্যবস্থা। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এমনভাবে করা হয় যাতে বাইরের তাপমাত্রা থেকে ভেতরের তাপমাত্রা অন্তত ছয় ডিগ্রি কম থাকে। প্রতি স্কয়ার মিটারে ৩০% কম দূষণ হয়। কার্বন মেশানো কংক্রিটের বদলে কাঠ ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়।

♦ পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি জিরো ক্লাব: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথভাবে ইতালির রোমে ‘পোপ ফ্রান্সিস-ইউনূস থ্রি জিরো ক্লাব’ চালু করে খ্রিষ্টান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। মানবতার জন্য একটি রূপান্তরমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের সূচনা করার প্রয়াসেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে অন্তত ৪,৬০০টি থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে, যার সবগুলোই প্রফেসর ইউনূসের নতুন সভ্যতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত।

দ্বি-কক্ষ আইনসভার ইতিকথা

বাংলাদেশে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। তবে এর মধ্যে দেশের মধ্যম সারির ও ছোট দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির মতে, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ তৈরি হলে সংসদে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং সংসদে ভারসাম্য আসবে।

পার্লামেন্ট

ফরাসি Parler শব্দটি আসে ল্যাটিন Parabolare থেকে। যার অর্থ talk। Parliament শব্দটি এসেছে পুরানো ফরাসি শব্দ Parlement থেকে। তখন Parlement বলতে আলোচনা, বিতর্ক ও সম্মেলন বোঝাত। বর্তমানে শব্দটি আনুষ্ঠানিক পরামর্শক সভা এবং আইনসভা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। আইনসভাকে ইংরেজিতে বলা হয় Parliament। বিশ্বের প্রথম পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ আইনসভা। ১২৩৬ সালে ব্রিটিশ রাজা ও আইনসভার উভয়কক্ষকে একত্রে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে Parliament বলে ডাকা হয়। আধুনিককালে বিভিন্ন দেশে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে আইনসভাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। যেমন- বাংলাদেশের আইনসভার নাম ‘জাতীয় সংসদ’, মার্কিন আইনসভার নাম ‘কংগ্রেস’। কোনো কোনো আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট আবার কোনো কোনোটি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।

দ্বি-কক্ষ আইনসভা

দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট (Bicameral Legislature) আইনসভা হলো এমন একটি আইনসভা যা দুটি পৃথক কক্ষ নিয়ে গঠিত, যেখানে একটি কক্ষকে ‘উচ্চকক্ষ’ (Upper House) এবং অন্যটিকে ‘নিম্নকক্ষ’ (Lower House) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলত, এ ধরনের আইনসভায় আইন প্রণয়নে সমান ক্ষমতার ভারসাম্য বা Checks & Balances নিশ্চিত করে। দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার নিম্নকক্ষের সদস্যরা সরাসরি নির্বাচিত হন। তাদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকে। উচ্চকক্ষের সদস্যরা কোনো কোনো দেশে নির্বাচিত আবার কোনো কোনো দেশে মনোনীত হন। উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষে পাস করা আইন অনুমোদন করে। বিলের উপর আলোচনা, বিতর্ক উচ্চকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কোনো দেশে বিল প্রথম উচ্চকক্ষে উপস্থাপিত হয়। সে সকল দেশের উচ্চকক্ষ একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান। কখনো উচ্চকক্ষ ভেঙে যায় না। যেমন- ভারতের রাজ্যসভা। প্রতি দু’বছর অন্তর দেশটির রাজ্যসভার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় উচ্চকক্ষ রাজ্যগুলোর সমপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে প্রত্যেক অঙ্গরাজ্য থেকে দু’জন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসেন। উচ্চকক্ষের সদস্যরা কোনো কোনো দেশে নিম্নকক্ষের সদস্যদের তুলনায় জনমতের প্রতি কম জবাবদিহিতা করেন। দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা চালু থাকলে জনগণের প্রতিনিধি (নিম্নকক্ষ) তাদের নিজেদের স্বার্থে বা স্বৈরাচারী উদ্দেশ্যে ইচ্ছামতো কোনো আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

বাংলাদেশে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা

আশির দশকে বাম রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খান দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুর দাবি তোলেন। এরপর ১৯ মার্চ ২০১৬ দলের জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠনের গুরুত্বের কথা বলেন। সে অনুযায়ী তিনি বিএনপি ঘোষিত ভিশন-২০৩০-এ দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ধারণা অন্তর্ভুক্ত করেন। পরবর্তীতে ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ বিএনপি ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’-এর ৬ নং দফায় দ্বি- কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা তথা জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়।

উল্লেখযোগ্য দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা

বিশ্বের ১৯২টি দেশে আইনসভা রয়েছে। তার মধ্যে ১০৫টি দেশে এককক্ষবিশিষ্ট ও ৮৭টি দেশে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে।

দেশআইনসভানিম্নকক্ষউচ্চকক্ষ
ফ্রান্সপার্লামেন্টন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিসিনেট
ভারতসংসদলোকসভারাজ্যসভা
জাপানডায়েটহাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসহাউস অব কাউন্সিলর্স
পাকিস্তানমজলিস-ই-শুরান্যাশনাল অ্যাসেম্বলিসিনেট
রাশিয়াফেডারেল অ্যাসেম্বলিস্টেট ডুমাফেডারেল কাউন্সিল
যুক্তরাজ্যপার্লামেন্টহাউস অব কমন্সহাউস অব লর্ডস
যুক্তরাষ্ট্রকংগ্রেসহাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসসিনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *