বাংলাদেশ বিষয়াবলি – সেপ্টেম্বর ২০২৪
০১.০৯.২০২৪
♦ সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নির্দেশ দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
০২.০৯.২০২৪
♦ কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR)।
♦ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নাগরিক ঐক্য এবং গণ অধিকার পরিষদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়।
০৩.০৯.২০২৪
♦ টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
০৪.০৯.২০২৪
♦ বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু।
♦ বাংলাদেশে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ৪০ লাখ ডলার সহায়তার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।
০৫.০৯.২০২৪
♦ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের এক মাস পূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
♦ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারগণ পদত্যাগ করেন।
♦ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘জাতীয় জিন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন।
০৯.০৯.২০২৪
♦ জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারি।
১৫.০৯.২০২৪
♦ বাংলাদেশকে ২০ কোটি ডলারের বেশি উন্নয়ন সহযোগিতা দেওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি স্বাক্ষর।
১৭.০৯.২০২৪
♦ রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায় গণসংহতি আন্দোলন।
♦ গ্রেপ্তার ও বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার মত সুযোগ দিয়ে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয় সরকার।
♦ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের সহায়তায় গঠিত জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়।
১৮.০৯.২০২৪
♦ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (ECNEC) সভায় আপাতত পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯.০৯.২০২৪
♦ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
২৩.০৯.২০২৪
♦ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ দাখিল করা হয়।
২৪.০৯.২০২৪
♦ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত।
২৫.০৯.২০২৪
♦ বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ৩.৫ বি.মা.ড. দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
২৬.০৯.২০২৪
♦ ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভার্সিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন চুক্তির অনুসমর্থনের নথি জাতিসংঘে জমা দেয় বাংলাদেশ।
২৭.০৯.২০২৪
♦ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দেশের প্রথম ‘অনলাইন বাস টার্মিনাল’ সেবার যাত্রা শুরু।
২৯.০৯.২০২৪
♦ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে সভাপতি করে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফেরত আনা এবং ব্যবস্থাপনার জন্য আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে সরকার।
৩০.০৯.২০২৪
♦ নৌ ও বিমান বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
আলোচিত বাংলাদেশ
বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স
২৬ আগস্ট ২০২৪ বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (SVRS) ২০২৩ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)।
জাতীয় জনসংখ্যা (জনশুমারি ২০২২-এর ভিত্তিতে প্রাক্কলিত)
♦ ১ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত: ১৭১.০০ মিলিয়ন >পুরুষ: ৮৩.৯১ মিলিয়ন >নারী: ৮৭.০৯ মিলিয়ন >বৃদ্ধির হার: ১.১২%।
♦ ১ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত: ১৭০.৭১ মিলিয়ন >পুরুষ : ৮৩.৭৭ মিলিয়ন >নারী: ৮৬.৯৪ মিলিয়ন।
ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা:
♦ মুসলিম ৮৯.৩% • হিন্দু ৯.৫৮% • বৌদ্ধ ১.০৯% • খ্রিষ্টান ০.২৪% • অন্যান্য ০.০৫%।
জনসংখ্যার নৃতাত্ত্বিক বিন্যাস:
♦ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১.৪৪% • প্রধান নৃ-গোষ্ঠী (বাঙালি) ৯৮.৫৬%।
♦ জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার (RNI): ১.৩৩%।
♦ জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি): ১,১৭১ জন।
♦ নির্ভরশীলতার অনুপাত: ৫৩.৭% > পল্লি: ৫৫.৭%
♦ শহর: ৪৭.৫%।
আয়ুষ্কাল: প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল: ৭২.৩ বছর > পুরুষ: ৭০.৮ বছর > নারী: ৭৩.৮ বছর।
মরণশীলতা: স্থূল মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে): ৬.১ জন > পল্লি: ৬.৪ জন • শহর: ৫.২ জন।
♦ এক বছরের নিচের বয়সি শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে): ২৭ জন >ছেলে: ৩০ জন • মেয়ে: ২৪ জন।
♦ এক মাসের কম বয়সি শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে): ২০ জন > ছেলে: ২২ জন • মেয়ে: ১৭ জন ।
♦ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে): ৩৩ জন > ছেলে: ৩৫ জন ও • মেয়ে: ৩০ জন।
♦ মাতৃমৃত্যু অনুপাত (প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে): ১৩৬ জন >পল্লি: ১৫৭ জন • শহর: ৫৬ জন।
♦ জন্ম-নিয়ন্ত্রণ (জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার): জাতীয়: ৬২.১% • পল্লি: ৬১.৬% • শহর: ৬৩.৯%।
♦ প্রজনন: স্থূল জন্মহার (প্রতি হাজারে) ১৯.৪ জন > পল্লি: ২০.২ জন • শহর: ১৭.০ জন।
♦ মোট প্রজনন হার : ২.১৭ • পল্লি: ২.৩১ শহর: ১.৭৮।
♦ স্থূল প্রতিবন্ধী (প্রতি হাজার জনসংখ্যায়): ২৮.২।
♦ বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহের গড় বয়স >পুরুষ: ২৫.৪ বছর • নারী: ১৮.৮ বছর।
♦ খানার বৈশিষ্ট্য: খানার আকার: ৪.২। খানা প্রধানের হার • পুরুষ: ৮১.১% • নারী: ১৮.৯%।
♦ বিদ্যুতের উৎস (%): জাতীয় গ্রিড : ৯৭.৫৪ • সৌরবিদ্যুৎ: ১.৮১০ • অন্যান্য: ০.০৯ • বিদ্যুৎ নেই: ০.৫৬।
বিভাগ ও জেলাওয়ারি সাক্ষরতার হার
♦ ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব: ৭৭.৯% • পুরুষ: ৮০.১% • নারী: ৭৫.৮% · পল্লি: ৭৫.৫% · শহর: ৮৫.৪%
♦ শীর্ষ বিভাগ: বরিশাল: ৮৪.৩% · সর্বনিম্ন বিভাগ: ময়মনসিংহ ৭৩.০৯% • শীর্ষ জেলা: পিরোজপুর ৯০.৬%
♦ সর্বনিম্ন জেলা: বান্দরবান ৬৪.৪% · ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব: ৭৫.৬% • পুরুষ: ৭৮.৬% • নারী: ৭২.৮% • পল্লি: ৭২.৯%
♦ শহর: ৮৩.৯% · শীর্ষ জেলা: পিরোজপুর ৯০.১% • সর্বনিম্ন জেলা: বান্দরবান ৫৮.৫%।
নব-নিযুক্ত: বাংলাদেশ
চেয়ারম্যান
♦ সোনালী ব্যাংক পিএলসি: মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।
♦ জনতা ব্যাংক পিএলসি: এম ফজলুর রহমান।
♦ অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি: সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ।
♦ গ্রামীণ ব্যাংক: ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী।
♦ আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক : মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
♦ পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (PKSF): জাকির আহমেদ খান।
♦ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন: বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
♦ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি: মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম।
মহাপরিচালক♦ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি: সৈয়দ জামিল আহমেদ।
♦ গণযোগাযোগ অধিদপ্তর: আকতার হোসেন।
♦ খাদ্য অধিদপ্তর: মো. আবদুল খালেক।
♦ প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (PIB): সাংবাদিক ও লেখক ফারুক ওয়াসিফ।
♦ বাংলাদেশ টেলিভিশন (BTV): মো. মাহবুবুল আলম।
♦ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
পদক-পুরস্কার
গ্লোবাল ইয়ুথ ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে নীতিনির্ধারণী ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তর্জাতিক জোট অ্যালায়েন্স ফর ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন (AFI) আর্থিক খাতের সম্মানজনক ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে থাকে। দেশের যুব সমাজের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ভূমিকা রাখায় ২০২৪ সালের ‘গ্লোবাল ইয়ুথ ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২-৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত AFI’র গ্লোবাল পলিসি ফোরামের সভায় বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
লিজেন্ড অব এআইপিএস অ্যাওয়ার্ড
ক্রীড়া সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা International Sports Press Association (AIPS)-এর মহাদেশীয় সংগঠন AIPS এশিয়ার ‘লিজেন্ড অব এআইপিএস অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হন পাক্ষিক ক্রীড়াজগত পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান দুলাল। এবার AIPS এশিয়া অঞ্চলের ৬ জন ক্রীড়া সাংবাদিককে এ পুরস্কারটি প্রদান করে। বাংলাদেশ ছাড়াও এবার এ পুরস্কার লাভ করেন সৌদি আরব, ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫ সাংবাদিক। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রিপোর্ট-সমীক্ষা
ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৪
২য় কোয়ার্টার (এপ্রিল-জুন)
ক্যাটাগরি | পুরুষ | নারী | মোট | |
মিলিয়ন | শ্রমশক্তি | ৪৮.০৪ | ২৪.২৪ | ৭২.২৮ |
কর্মে নিয়োজিত | ৪৬.১৯ | ২৩.৪৫ | ৬৯.৬৪ | |
বেকার | ১.৮৫ | ০.৭৯ | ২.৬৪ | |
শ্রমশক্তির বাহিরে | ১১.৯১ | ৩৭.৬০ | ৪৯.৫১ | |
যুব শ্রমশক্তি (১৫-২৯ বছর) | ১২.৭৭ | ১২.৫৭ | ২৫.৩৪ | |
বেকারত্বের হার (%)শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী (%) | ৩.৮৫৮০.১৩ | ৩.২৬৩৯.২০ | ৩.৬৫৫৯.৩৫ |
♦ খাতভিত্তিক কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী (মিলিয়ন): ৬৯.৬৪ >কৃষি: ৩০.৯২
♦ শিল্প: ১২.৩২ · সেবা: ২৬.৪০
♦ মোট প্রাক্কলিত জনসংখ্যা: ১৭৩.৪৪ মিলিয়ন
♦ ১৫ ও তদূর্ধ্ব বয়সি কর্মক্ষম জনসংখ্যা: ১২১.৭৯ মিলিয়ন >পুরুষ ৫৯.৯৫ মিলিয়ন >মহিলা ৬১.৮৪ মিলিয়ন।
বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০২২
♦ প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২০২৪।
♦ প্রকাশক: জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (NIPORT)।
♦ প্রতিবেদনের শিরোনাম: Bangladesh Demographic and Health Survey 2022
প্রতিবেদন অনুযায়ী-
♦ দেশে বছরে ৩৬ লাখ শিশুর জন্ম হয়। এর মধ্যে ২০ লাখ প্রসব হয় স্বাভাবিক; বাকি ১৬ লাখ প্রসব হয় অস্ত্রোপচারে।
♦ প্রতিটি স্বাভাবিক প্রসবে ৭,৭৬৫ টাকা খরচ হয়। অন্যদিকে প্রতিটি অস্ত্রোপচারে খরচ হয় ২৩,৯৪৪ টাকা।
♦ শিশুজন্মে অস্ত্রোপচারের জন্য বছরে খরচ হয় ৩,৮৪৬ কোটি টাকা।
♦ জন্মনিয়ন্ত্রণের সামগ্রী ব্যবহার করেন ৬৪% দম্পতি।
♦ প্রসবপূর্ব সেবা প্রতি ১০ জনের মধ্যে (চারবার) পান ৪১% গর্ভবতী।
♦ প্রসবের সময় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান ৭০% মা
♦ হাসপাতাল বা ক্লিনিকে প্রসব হয় ৬৫%।
♦ অত্যাবশ্যকীয় সেবা পায় মাত্র ১% নবজাতক।
♦ স্বাস্থ্য খাতের গ্রহণযোগ্য তথ্য ও পরিসংখ্যানের উৎস জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ। জাতীয়ভিত্তিক এ জরিপের তথ্য নীতিনির্ধারক, গবেষক, চিকিৎসক, দাতা সংস্থা ও সাংবাদিকেরা নিয়মিত ব্যবহার করেন। ১৯৯৪ সালের পর থেকে দু-তিন বছর পরপর এ প্রতিবেদন নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
আমদানি-রপ্তানি ২০২৩-২৪
♦ প্রকাশ: আগস্ট ২০২৪।
♦ প্রকাশক: বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী-
অর্থবছর | পণ্য রপ্তানি (কোটি ড.) | পণ্য আমদানি (কোটি ড.) |
২০২২-২৩ | ৪,৩৩৬.৪০ | ৭,০৭৪.৮০ |
২০২৩-২৪ | ৪,০৮১.০০ | ৬,৩২৪.২০ |
প্রবৃদ্ধি | -৫.৮৯% | -১০.৬১% |
দেশজুড়ে
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সমাজসেবা অধিদপ্তর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করে। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফাউন্ডেশন গঠনের তথ্য জানানো হয়। ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদ হবে ২১ সদস্য বিশিষ্ট। ফাউন্ডেশনের সভাপতি করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এবং সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে, যিনি শহীদ মুগ্ধর জমজ ভাই। কোষাধ্যক্ষ – কাজী ওয়াকার আহমেদ আর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, নূরজাহান বেগম ও শারমিন মুর্শিদ। এ ফাউন্ডেশনে আরও ১৪ জন সাধারণ সদস্য যুক্ত হবে। ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে ১০০ কোটি টাকা অনুদান দেয়। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় ছাত্র- জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এর আগে সিদ্ধান্ত হয় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বহন করবে।
GI পণ্য এখন ৪৩টি
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDI) আর ১১টি পণ্যকে GI সনদ প্রদান করে। এ নিয়ে দেশে মোট GI পণ্যের সংখ্যা ৪৩টি।
ক্রম | পণ্যের নাম | আবেদন | আবেদনকারী |
৩৩ | মধুপুরের আনারস | ০৭.১১.২০২৩ | জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল |
৩৪ | ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই | ১৯.১২.২০২৩ | জেলা প্রশাসক, ভোলা |
৩৫ | মাগুরার হাজরাপুরী লিচু | ২৩.০৮.২০২৩ | জেলা প্রশাসক, মাগুরা |
৩৬ | সিরাজগঞ্জের গামছা | ০৩.০৩.২০২৪ | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড |
৩৭ | সিলেটের মণিপুরি শাড়ি | ২১.০৬.২০২৩ | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড |
৩৮ | মিরপুরের কাতান শাড়ি | ১৯.০২.২০২৪ | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড |
৩৯ | ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা | ০২.১১.২০২১ | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড |
৪০ | কুমিল্লার খাদি | ১৯.০২.২০২৪ | বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড |
৪১ | ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি | ০৮.০৪.২০২৪ | জেলা প্রশাসক, ব্রাহ্মণবাড়িইয়া |
৪২ | গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা | ১৪.০৩.২০২৪ | জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ |
৪৩ | সুন্দরবনের মধু | ০৯.০৮.২০১৭ | জেলা প্রশাসক, বাগেরহাট |
বিশ্বাঙ্গনে বাংলাদেশ
স্থাপত্যশিল্প প্রতিযোগিতায় বাজিমাত
আন্তর্জাতিক স্থাপত্যশিল্প প্রতিযোগিতা ‘দ্য ইন্সপাইরেলি অ্যাওয়ার্ডস’ লাভ করেন বাংলাদেশের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (MIST) স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী সারাফ নাওয়ার। এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দেশের ৯২১ জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেন সারাফ নাওয়ার। তিনি স্থাপত্য বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে পুরস্কারটি পান। বাংলাদেশের সোনাদিয়া দ্বীপে টেকসই জলজ স্থাপত্য নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল তার প্রজেক্টের মূল বিষয়।
থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ সম্মাননা
বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের অনারারি কনসাল আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে থাই সরকার ও থাই নাগরিকদের সহযোগিতা করে আসছেন। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর থাই দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে এ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে থাইল্যান্ডের মুকুটের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্ডারের সহযোগী পুরস্কার দেওয়া হয়। থাইল্যান্ডের মুকুটের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্ডার দেশটির সর্বোচ্চ সম্মাননাগুলোর একটি। ১৮৬৯ সালে এ সম্মাননা চালু করা হয়। সাধারণত দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড-
♦ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
♦ সময়কাল: ৮-১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
♦ আয়োজক: সৌদি আরব
♦ আয়োজন: প্রথম
♦ অংশগ্রহণে: ২৫টি দেশের শতাধিক শিক্ষার্থী
♦ বাংলাদেশি নির্বাচিত শিক্ষার্থী সদস্য: ৪ জন
♦ রৌপ্যপদক : আরেফিন আনোয়ার ও মিসবাহ উদ্দীন ইনান
♦ ব্রোঞ্জপদক: আবরার শহীদ ও রাফিদ আহমেদ।
♦ ইনফরমেটিক্স
♦ সময়কাল: ১-৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
♦ আয়োজন: ৩৬তম
♦ আয়োজক: মিশর
♦ বাংলাদেশি অংশগ্রহণ: ৪ জন
♦ স্বর্ণপদক: বাংলাদেশের
♦ হয়ে প্রথম স্বর্ণপদক পান দেবজ্যোতি দাস সৌম্য
♦ ব্রোঞ্জপদক : জারিফ রহমান ও আকিব আজমাইন তূর্য।
♦ বুদ্ধিবৃত্তিক
বুদ্ধিবৃত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘আওলিপিয়া’ অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশের সাদিদ শাহরিয়ার। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় একক স্বর্ণপদকের পাশাপাশি দলগতভাবেও রৌপ্য পদক ও ট্রফি অর্জন করে।
বীজ সংরক্ষণের জন্য ব্যাংক
বীজ সংরক্ষণের জন্য ব্যাংক স্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরি করা হয়। অনুমোদনের পর একটি বীজ ব্যাংক স্থাপন করা হবে। যেখানে শুধুমাত্র বীজ সংরক্ষণ করা হবে। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ নীতিমালার খসড়া প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এ ব্যাংক বাস্তবায়ন করবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর। সাভারে ঢাকা ইপিজেডের পাশে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির সঙ্গে এই ব্যাংক স্থাপিত হবে। জীন হলো জেনেটিক উপাদান। জেনেটিক উপাদান ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য স্বল্প/দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণ করা হয়।সেন্সর বোর্ড যুগের ইতি
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড যুগের ইতি ঘটে। এ দিন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেট আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩-এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করা হয়। ১৫ সদস্যের চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব। ১৯৭৭ সালের ‘সেন্সরশিপ অব ফিল্ম রুলস’ অনুসারে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড গঠিত হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন
রাষ্ট্র সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া- যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও সামাজিক নেতাদের উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তৈরির জন্য একটি পথরেখা ঘোষণা করেন।
সংস্কার
সংস্কারের বাংলা অর্থ মেরামত বা সঠিক করা। অন্য অর্থে ভালো করা বা ভালো হয়ে যাওয়া। সংস্কার শব্দের অর্থ ও ব্যবহার প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। বর্তমানে ‘রাষ্ট্র মেরামত’, ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ নিদেনপক্ষে ‘সংস্কার’ শব্দটি অধিক উচ্চারিত শব্দের একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণে উন্নয়ন-সহযোগীরা এ শতকের প্রায় শুরু থেকেই উন্নয়নকে আরও টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে গ্রহণযোগ্য করতে বেশকিছু প্রয়োজনীয় সংস্কারের কথা বলেন।
বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কার
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ কোন নীতি, কোন আদর্শে পরিচালিত হবে এবং সেই সব নীতি আদর্শ বাস্তবায়ন হবে কোন আইন, কোন বিধি অনুযায়ী, তা ঠিক করার জন্য ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষের মতামতের সম্পৃক্ততা খুব কম ছিল। সংবিধানের বিভিন্ন অংশে নানা প্রতিশ্রুতি যুক্ত করা হলেও এইসব মূলনীতি বাস্তবায়ন করা বা না করা সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কারের জনমুখি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা শুধু প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য যে বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়, তাহলো- প্রশাসনিক; নির্বাচনীয়; বিচার বিভাগীয়; সংবিধান ও আইন; অর্থনৈতিক ও সামাজিক: স্থানীয় সরকার ও বিকেন্দ্রীকরণ সংস্কার ইত্যাদি।
রাষ্ট্র সংস্কারে ৬ কমিশন
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান এবং কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। এছাড়া ভবিষ্যতে আরও কিছু বিষয়ে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে কমিশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ১ অক্টোবর ২০২৪ থেকে তাদের কাজ শুরু করবে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শ সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র-শ্রমিক-জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ সভার আয়োজন করবে। উল্লেখ্য, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম করা হলেও ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ কমিশনের প্রধান হিসেবে তার পরিবর্তে আলী রীয়াজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নাম | প্রধান | পদবি |
সংবিধান সংস্কার কমিশন | অধ্যাপক আলী রীয়াজ | রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক |
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন | ড. বদিউল আলম মজুমদার | সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক |
পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন | সফর রাজ হোসেন | সাবেক স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন সচিব |
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন | বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান | সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি |
দুদক সংস্কার কমিশন | ড. ইফতেখারুজ্জামান | ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক |
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন | আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী | সাবেক সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা |
জনশুমারিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
১৫-২১ জুন ২০২২ অনুষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা। ২৭ জুলাই ২০২২৪ ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০২৪ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বরে জেলাভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের আলোকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নিয়ে আমাদের এ আয়োজন।
♦ মোট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী: ৫০টি >বৃহত্তম নৃ-গোষ্ঠী: চাকমা >ক্ষুদ্রতম নৃ-গোষ্ঠী: ভিল
♦ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮৯ >পুরুষ: ৮,২৪,৯৩৩ >নারী: ৮,২৫,৫৪৫
♦ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাসে শীর্ষ: বিভাগ চট্টগ্রাম (৯,৯১,০১৩) >জেলা: রাঙ্গামাটি (৩,৭২,৮৭৫)
♦ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাসে সর্বনিম্ন: বিভাগ >বরিশাল (৪,১৯০) >জেলা: লালমনিরহাট (১১৮)
ছাত্র আন্দোলন
ভাষা আন্দোলন থেকে ২৪ এর গণজাগরণ
তরুণ ছাত্র সমাজ একটি জাতির ভবিষ্যৎ। একজন ছাত্র ন্যায়-নীতি, আদর্শ, মূল্যবোধ, স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠতে পারে জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের কারিগর। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সকল শৃঙ্খল, অন্যায়-অবিচার ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তির সূতিকাগার এ ছাত্র সমাজ।
৫২‘র ভাষা আন্দোলন
দেশভাগের মাত্র সাত মাসের মাথায় ১১ মার্চ, ১৯৪৮ বাংলার ছাত্রসমাজকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে মাঠে নামতে হয়। সবশেষে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিবাদ মিছিলে নামে তারা। মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় রফিক, শফিক, জব্বার, শফিউরসহ আরো কয়েকজন। চাপের মুখে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় সরকার।
৬২‘র শিক্ষা আন্দোলন
৩০ ডিসেম্বর, ১৯৫৮ আইয়ুব খান শিক্ষা কমিশন গঠন করে। এ কমিশন ১৯৫৯ সালের আগস্টে শিক্ষা রিপোর্ট প্রণয়ন করে। এ রিপোর্টে শিক্ষাব্যবস্থায় যে সকল প্রস্তাব ছিল তাতে ৩২ আইয়ুব খানের ধর্মান্ধ, ধনবাদী, রক্ষণশীল, সাম্রাজ্যবাদী শিক্ষা সংকোচন নীতির পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে। এ শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২ যা বাংলাদেশে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
৬৯‘র গণঅভ্যুত্থান
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আইয়ুব খান সরকারের পতন ঘটে ছাত্র-জনতার এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারের মুখে টিকতে না পেরে ২৫ মার্চ, ১৯৬৯ পাকিস্তানের ‘লৌহমানব’ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
৯০‘র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন
২৪ মার্চ, ১৯৮২ রক্তপাতহীন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেই সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম গর্জে ওঠে ছাত্র সমাজ। ২৪টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমর্থনে গড়ে ওঠে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’। এর সাথে আন্দোলন যুক্ত হয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা। গণঅভূত্থানের মুখে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কার আন্দোলন
২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে কোটা প্রথা বাতিল ও পূর্ণমূল্যায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় যা মার্চ মাসে খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক আন্দোলন করে। আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল, ২০১৮ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের কোটা বাতিল করেন। ঢাকায় ২৯ জুলাই, ২০১৮ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দ্রুতগতির দুই বাসের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয় ও ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সড়ক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ পরবর্তীতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
২০০৭ সালের শিক্ষক মুক্তি আন্দোলন
২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্প করে সেনাবাহিনী। ২০ আগস্ট, ২০০৭ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে ছাত্র ও সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২২ আগস্ট, আন্দোলন দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হয়। আটক করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে। পরবর্তীতে ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের কাছে বাধ্য হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্তি দেওয়া হয়।
‘নো ভ্যাট‘ আন্দোলন’
২০১৫-১৬ অর্থবছরের খসড়া বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার উপর ১০% কর আরোপ করে। সমালোচনার মুখে তা কমিয়ে ৭.৫% করে ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়। ফলে ছাত্র আন্দোলন দানা বাধতে থাকে। আন্দোলনের মুখে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ সরকার টিউশন ফি’র উপর আরোপিত কর প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
দুর্জয়-সংগ্রাম-গণজাগরণে ২০২৪
১ জুলাই, ২০২৪ দেশে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শুরুতে এ আন্দোলন অহিংস ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেপরোয়া হলে ১৫ জুলাই, আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। সহিংসতার মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। যার পরিণতিতে ৫ আগস্ট পতন ঘটে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী সরকার শেখ হাসিনার। এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস, গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় ব্যথাকাতর মায়ের ডাক, স্বামী হারানো বেদনাবিধূর স্ত্রীর অনন্ত আর্তনাদ, পঙ্গু বাবার জন্য সন্তানের হৃদয় বিদারক হাহাকার, আর কারাগারে বন্দি ভাইয়ের জন্য বোনের নীরব প্রার্থনা। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের হাত ধরেই নতুন বাংলাদেশের আবির্ভাব ঘটে।
নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কার আন্দোলন২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে কোটা প্রথা বাতিল ও পূর্ণমূল্যায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় যা মার্চ মাসে খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক আন্দোলন করে। আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল, ২০১৮ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধরনের কোটা বাতিল করেন। ঢাকায় ২৯ জুলাই, ২০১৮ রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দ্রুতগতির দুই বাসের সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয় ও ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সড়ক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বিক্ষোভ পরবর্তীতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।